পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের হুমকি
- By Jamini Roy --
- 22 December, 2024
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা তাদের খালের ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। একে তিনি অত্যন্ত অন্যায্য ও হাস্যকর আচরণ বলে অভিহিত করেছেন এবং পানামার কাছ থেকে খালের নিয়ন্ত্রণ ভার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
শনিবার (২১ নভেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, "পানামা কর্তৃপক্ষ আমাদের নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর জন্য অত্যধিক ফি নির্ধারণ করেছে, যা অত্যন্ত অন্যায্য। আমাদের দেশের সঙ্গে এমন প্রতারণা আর চলতে দেয়া হবে না।" ট্রাম্প আরও জানান, "পানামা যদি খালটি গ্রহণযোগ্যভাবে পরিচালনা না করে, তাহলে আমি এর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানাব।"
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। তিনি ঐতিহাসিকভাবে মিত্রদের হুমকি দিতে এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে কঠোর অবস্থান নিতে পরিচিত। ট্রাম্প তার পোস্টে আরো বলেন, "পানামা তাদের মতো করে খালটি পরিচালনা করতে পারে, তবে এটি চীনের হাতে কিংবা অন্য কোনো দেশের হাতে পড়তে দেওয়া হবে না।"
পানামা খাল, যা আটলান্টিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী সংযোগকারী হিসেবে কাজ করে, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। প্রায় পাঁচ শতাংশ বৈশ্বিক বাণিজ্য এই খাল দিয়ে পরিবাহিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া এর প্রধান ব্যবহারকারী দেশ।
১৯১৪ সালে পানামা খালের নির্মাণকাজ শেষ হলেও দীর্ঘদিন ধরে এটিকে দুই দেশের যৌথ প্রশাসনে পরিচালনা করা হত। ১৯৯৯ সালে, পানামা খালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পানামার হাতে চলে আসে। এর পর থেকে এই খাল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অপরিহার্য রুট হিসেবে পরিচিত।
ট্রাম্পের এই হুমকির মধ্যে তার প্রশাসনের কূটনীতিতে শক্তিশালী এবং কঠোর মনোভাবের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বিশেষ করে বিশ্ব বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা পানামা খাল সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে। তার এই মন্তব্য পানামা এবং অন্যান্য দেশের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা হয়ে উঠেছে, যা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক শর্তগুলোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।